শিরোনাম

IPL 2025 প্লে-অফের আগে গুজরাট টাইটান্সের বড় দুর্বলতা

IPL 2025 প্লে-অফের আগে গুজরাট টাইটান্সের বড় দুর্বলতা

IPL 2025 গুজরাট টাইটান্স দুর্বলতা আইপিএল ২০২৫ বিশ্লেষণে ধরা পড়ল বোলিংয়ের বড় ফাঁকফোকর আইপিএল মানেই উত্তেজনা, কৌশলের খেলা, আর শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দমবন্ধ করে রাখা লড়াই। কিন্তু যতই শক্তিশালী দল হোক, একটি বিভাগে ফাঁক থাকলেই পুরো কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে। গুজরাট টাইটান্স—যাদের শুরুটা ছিল বিজয়ের মিছিলের মতো, তারাই এখন চাপে পড়েছে এক ভয়ঙ্কর দুর্বলতার জন্য। গুজরাট টাইটান্স দুর্বলতা আইপিএল ২০২৫-এ ঠিক কীভাবে তাদের সম্ভাবনাকে বিপদের মুখে ফেলছে, তা-ই বিশ্লেষণ করব এই SEO-বান্ধব আর্টিকেলে।

IPL 2025 সাফল্যের শুরু, কিন্তু তারপর…

আইপিএল ২০২৫-এ গুজরাট টাইটান্স প্রথম ১১ ম্যাচে জিতেছে ৮টি। এ যেন এক নিখুঁত দলে রূপ নেওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিন্তু টুর্নামেন্ট পুনরায় শুরু হতেই যেন বাজে কিছু ঘটল। শেষ ছয় ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে হেরেছে তারা। এবং ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো, শেষ তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের রান ছিল ২০০-র ওপরে।

এর অর্থ কী?

এটি সরাসরি বলছে, গুজরাটের বোলিং লাইন-আপে কোনও না কোনও জায়গায় বড় ফাটল ধরেছে।

যে জায়গাটিতে গড়বড় সবচেয়ে বেশি: বোলিং ইউনিট

গুজরাট টাইটান্সের বোলিং ইউনিট আগে ছিল টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা। রশিদ খান, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, মোহাম্মদ সিরাজ—তিনটি আলাদা স্টাইলের বোলার। সাথে স্পিন অপশন হিসেবে থাকা সাই কিশোর।

তবু হঠাৎ কী ঘটল?

গত তিন ম্যাচে তারা হজম করেছে ৬৬৪ রান, নিয়েছে মাত্র ১০টি উইকেট। এর মানে প্রতিপক্ষ প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় খেলেছে। কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য এটি একটা ‘রেড ফ্ল্যাগ’।

টম মুডির মূল্যবান পর্যবেক্ষণ

আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কোচ টম মুডি বলেন:

“বোলাররা ফর্ম হারাচ্ছে ভুল সময়ে। ফাইনালে যেতে হলে যে বিভাগে আত্মবিশ্বাস থাকা চাই, সেটাই এখন দুর্বল।”

মুডি আরও বলেন, কেবল সাই কিশোর ছাড়া কেউ ধারাবাহিক নন। এবং এটি একটা বড় ইঙ্গিত দেয় যে ইউনিট হিসেবে তারা ফাংশন করতে পারছে না।

সাই কিশোর: চাপের মুখে একমাত্র আশার আলো

সাই কিশোরকে যদি বাদ দিই, তাহলে বাকি বোলাররা যেন নিজেদের ছায়া। তিনি উইকেটও নিচ্ছেন এবং রানও বেঁধে রাখছেন। অথচ একজনের পারফরম্যান্সে তো আর পুরো ম্যাচ জয় করা যায় না! তার বোলিং পার্টনারশিপ গড়ে তোলার মতো সঙ্গী পাচ্ছেন না।

রশিদ খান: একসময়কার ভয়ংকর অস্ত্র, এখন কি নিস্তেজ?

রশিদ খানের নাম শোনামাত্র ব্যাটাররা ভয় পেতেন। কিন্তু আইপিএল ২০২৫-এ তিনি যেন নিজের ছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছেন। হয়তো ব্যক্তিগত কারণ, হয়তো ফিটনেস, কিন্তু বল হাতে সেই আগ্রাসন নেই। মিডল ওভার উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা কমে গেছে। কুম্বলে বলছেন, “তাঁর উইকেট টেকিং অ্যাবিলিটি হারানোয় মিডল ওভারেই চাপ পড়ে যাচ্ছে।”

প্রসিদ্ধ ও সিরাজ: ধারাবাহিকতার অভাব

প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা এবং মোহাম্মদ সিরাজ—দুজনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে তারা নিজেদের প্রমাণে ব্যর্থ। কখনো ভালো, কখনো খারাপ—এই মিক্সড পারফরম্যান্সই দলের মনোবলকে নিচে নামাচ্ছে।

ম্যাচ বিশ্লেষণ: চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ৮৩ রানে হার

সবচেয়ে লজ্জাজনক হার ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে, যেখানে গুজরাট হেরেছিল ৮৩ রানে! এবং চেন্নাই ছিল পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকে। এটি স্পষ্টভাবে দেখিয়েছে যে গুজরাটের বোলিং ইউনিট নড়বড়ে হয়ে পড়েছে।

দলের ভেতর থেকে উঠে আসা সংকেত

ড্রেসিং রুম রিপোর্ট বলছে, বোলাররা মানসিক চাপেও ভুগছেন। ব্যর্থতার ভয় থেকে অনেকেই বল ডেলিভার করার সময় দ্বিধায় পড়ছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন নতুন মনোবল এবং স্পষ্ট পরিকল্পনা।

সম্ভাব্য সমাধান ও কৌশল পুনর্গঠন

গুজরাট টাইটান্স যদি আবার জয়পথে ফিরতে চায়, তবে নিচের কৌশলগুলো অবলম্বন করতে পারে:

  • রোটেশন ও রেস্ট সিস্টেম চালু করা
  • ডেথ ওভার বিশেষজ্ঞ বোলার হিসেবে কাউকে ফোকাসে আনা
  • ম্যাচ পূর্বে ফিল্ডিং পজিশনের পরিকল্পনায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া
  • রশিদকে ডিফেন্সিভ নয়, আক্রমণাত্মকভাবে ব্যবহার করা

প্লে-অফে পারবে কি ঘুরে দাঁড়াতে?

সবকিছু মিলিয়ে এখনও আশার আলো রয়েছে। কারণ গুজরাটের ব্যাটিং এখনও স্বচ্ছন্দ। শুভমান গিল, ডেভিড মিলার, রাহুল তেওটিয়া ফর্মে আছেন। যদি বোলিং ইউনিট নিজেকে ধরে রাখতে পারে, তবে টাইটান্স আবারও ফাইনালে পৌঁছাতে পারে।

JitaBet , এবং  JitaWin  এ আপনার বাজি রাখুন  , তারা সত্যিই ভাল প্রতিকূলতা অফার করে, খেলুন এবং বড় জিতুন!

FAQs

গুজরাট টাইটান্সের বর্তমান সবচেয়ে দুর্বল দিক কী?
বোলিং ইউনিটের ধারাবাহিকতা এবং পার্টনারশিপ গড়ে তোলার ব্যর্থতা।

রশিদ খান কেন আগের মতো উইকেট পাচ্ছেন না?
উইকেট নেওয়ার আগ্রাসন হারিয়ে গিয়েছে এবং সম্ভবত মানসিক চাপ তার খেলায় প্রভাব ফেলছে।

সাই কিশোর কেন এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন?
কারণ তিনিই একমাত্র ধারাবাহিক পারফর্মার, যিনি উইকেট নিচ্ছেন ও রান আটকাচ্ছেন।

টম মুডির মতে, দলের মূল সমস্যা কী?
ভুল সময়ে বোলারদের ফর্ম হারানো।

কোন ম্যাচে দুর্বলতা স্পষ্ট দেখা গেছে?
চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ৮৩ রানে হার সবচেয়ে বড় ইঙ্গিত দিয়েছে।

প্লে-অফে টাইটান্স কি চ্যাম্পিয়ন হতে পারে?
সম্ভাবনা এখনও আছে, যদি বোলিং ইউনিট ফর্মে ফিরে আসে।

উপসংহার

একটি সফল দল শুধুমাত্র তার ব্যাটসম্যানদের উপর নির্ভর করে না। একটি ট্রফি জিততে গেলে বোলিং ইউনিটকে কঠোর, ধারাবাহিক এবং আক্রমণাত্মক হতে হয়। গুজরাট টাইটান্স দুর্বলতা আইপিএল ২০২৫-এ এখনই যদি চিহ্নিত করে সমাধান না করা হয়, তাহলে তাদের যাত্রা শেষ হতে পারে পরিকল্পনার আগেই। কিন্তু যদি তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তবে তা হবে ক্রিকেট ইতিহাসে আরেকটি অনুপ্রেরণার গল্প।

For More Update Follow JitaSports English News and JitaSports BD News